HSC ICT Note Chapter-3 (খ নম্বর প্রশ্ন -অনুধাবনমূলক) - by flpmvoeilink

 HSC ICT Note Chapter-3 (খ নম্বর প্রশ্ন -অনুধাবনমূলক) - by flpmvoeilink




Basic Logic Gate( মৌলিক গেইট)

যে সকল গেইট বুলিয়ান অ্যালজেবরার মৌলিক অপারেশনগুলো এককভাবে সম্পাদন করতে পারে তাকে মৌলিক গেইট বলে। মৌলিক গেইট অন্য কোন গেইটের উপর নির্ভরশীল নয়। মৌলিক গেইট সাধারনত তিনটি। যথা-

১) অর গেইট(OR Gate) ২) এন্ড গেইট(AND Gate)  ৩) নট গেইট(NOT Gate)

OR GATE:

 OR Gate Electrical Circuit

OR Gate হলো যৌক্তিক যোগের গেইট। বুলিয়ান অ্যালজেবরার যোগের কাজ সম্পাদনের জন্য OR Gate ব্যবহার করা হয় । OR Gate এ সাধারনত দুই বা ততোধিক ইনপুট থাকে এবং আউটপুট থাকে একটি। অর্থাৎ যে আধুনিক বর্তনীতে দুই বা ততোধিক ইনপুট দিয়ে একটি মাত্র আউটপুট পাওয়া যায় যেখানে আউটপুটটি হয় ইনপুট গুলোর যৌক্তিক যোগের সমান, তাকে OR Gate বলে। OR Gate এ কোন একটি ইনপুট ১ হলে অউটপুট হয় ১ আর যখন সবগুলো ইনপুট ০ হয় তখন আউটপুট হয় ০।

AND GATE:

AND GATE 

AND Gate হলো যৌক্তিক গুনের গেইট। বুলিয়ান অ্যালজেবরার গুনের কাজ সম্পাদন করার জন্য AND Gate ব্যবহার করা হয় । AND Gate এ সাধারনত দুই বা ততোধিক ইনপুট থাকে এবং আউটপুট থাকে একটি। অর্থাৎ যে আধুনিক বর্তনীতে দুই বা ততোধিক ইনপুট দিয়ে একটি মাত্র আউটপুট পাওয়া যায় যেখানে আউটপুটটি হয় ইনপুট গুলোর যৌক্তিক গুনের সমান, তাকে AND Gate বলে। AND Gate এ কোন একটি ইনপুট ০ হলে অউটপুট হয় ০ আর যখন সবগুলো ইনপুট ১ হয় তখন আউটপুট হয় ১।

NOT GATE:

NOT GATE Electrical circuit NOT GATE

বুলিয়ান অ্যালজেবরার যৌক্তিক পূরকের কাজ সম্পাদনের জন্য যে লজিক গেইট ব্যবহার করা হয় তাকে NOT Gate বলে। NOT Gate এ একটি ইনপুট ও একটি আউটপুট থাকে। যে আধুনিক বর্তনীতে একটি মাত্র ইনপুট ও একটি মাত্র আউটপুট থাকে এবং যেখানে আউটপুটি হয় ইনপুটের যৌক্তিক বিপরীত তাকে NOT Gate বলে। NOT Gate এ ইনপুট ০ হলে আউটপুট হয় ১ আর ইনপুট ১ হলে আউটপুট হয় ০। NOT Gate কে ইনভার্টারও বলা হয়।


প্রশ্ন-১.   ৩-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: কোনাে সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলতে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মােট অঙ্ক বা প্রতীকসমূহের সংখ্যাকে বুঝায়। ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি হলাে এমন একটি সংখ্যা পদ্ধতি যার তিনটি মৌলিক প্রতীক থাকবে। আর মৌলিক প্রতীক অংকগুলাে মধ্যে সর্বোচ্চ অংক হবে তার বেজের চেয়ে 1 কম। ৩ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতির মৌলিক প্রতীক গুলাে হবে 0,1,2। সুতরাং যে সংখ্যা পদ্ধতি শুধুমাত্র 0,1,2 মৌলিক প্রতীকগুলাে নিয়ে গঠিত তাকে তিন ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। 


প্রশ্ন-২. কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় কেন? 

উত্তর: ডিজিটাল সিগনালে 0 কে OFF এবং 1 কে ON হিসেবে বিবেচনা করলে ডিজিটাল ডিভাইস সহজে বােধগম্য হয় বিধায় কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। বাইনারি সিস্টেম, দুটি অবস্থায় থাকায় ইলেকট্রনিক সার্কিট ডিজাইন খুবই সহজ হয়। এ সকল নানাবিধ কারণে কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।


প্রশ্ন-৩. বিয়ােগের কাজ যােগের মাধ্যমে সম্ভব -ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: বিয়ােগের কাজ যােগের মাধ্যমে করা সম্ভব ২ এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহার করে। বাইনারি সংখ্যার ১ এর পরিপূরকের সাথে ১ যােগ করলে ২ এর পরিপূরক পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যেকোনাে ঋণাত্মক সংখ্যার ২ এর পরিপূরক তৈরি করে সমকক্ষ ৮টি বাইনারি সংখ্যার সমান করতে হবে। অতপর সংখ্যাদ্বয়ের চূড়ান্ত অবস্থা যােগ করে ফলাফল নির্ণয় করা হয়। তবে চিহ্ন” বিট ১ হলে ফলাফল ২ এর পরিপূরক গঠনে থাকে। 


প্রশ্ন-৪, ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রয়ােজনীয়তা নিচে দেওয়া হলাে– ১. ২ এর পরিপূরক গঠনে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা এবং চিহ্নবিহীন সংখ্যা যােগ করার জন্য একই বর্তনী ব্যবহার করা যায়। 

২. ২ এর পরিপূরক গঠনে যােগ ও বিয়ােগের জন্য একই বর্তনী 

ব্যবহার করা যায়। তাই আধুনিক কম্পিউটারে ২-এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। 


প্রশ্ন-৫. ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশীর্বাদ– বুঝিয়ে লিখ। 

উত্তর: ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশীর্বাদ, কারণ বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানিগুলাে একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়। ইউনিকোড হচ্ছে ১৬ বিট কোড। বিভিন্ন ধরনের ক্যারেক্টার ও টেক্সটকে প্রকাশ করার জন্য ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়। ইউনিকোডের মাধ্যমে 216 = 65536 টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। ফলে সমস্ত দেশের (যেমন-চাইনিজ, জাপানিজ, কোরিয়ান) ভাষাকে প্রকাশ করতে ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়।



প্রশ্ন-৬, বুলিয়ান অ্যালজেবরার ভিত্তিগুলাে ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: যৌক্তিক চলক এবং যুক্তিমূলক অপারেশনসমূহের সহযােগে গঠিত গণিতকেই বুলিয়ান বীজগণিত বলা হয়। বুলিয়ান অ্যালজেবরা মূলত লজিকের সত্য অথবা মিথ্যা এই দুটি স্তরের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। বুলিয়ান অ্যালজেবরার এ দুটি অবস্থার জন্য পরবর্তী সময়ে যখন কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়, তখন বুলিয়ান অ্যালজেবরার সত্য ও মিথ্যাকে বাইনারির '1' এবং 'o দ্বারা পরিবর্তন করে নিতেই কম্পিউটারের সমস্ত গাণিতিক সমস্যা বুলিয়ান অ্যালজেবরার সাহায্যে করা সম্ভব হয়। 


প্রশ্ন-৭. বুলিয়ান অ্যালজেবরার ভিত্তিগুলাে কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: যৌক্তিক চলক এবং যুক্তিমূলক অপারেশনসমূহের সহযােগে গঠিত গণিতকেই বুলিয়ান বীজগণিত বলা হয়। বুলিয়ান অ্যালজেবরা মূলত লজিকের সত্য অথবা মিথ্যা এই দুটি স্তরের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। বুলিয়ান অ্যালজেবরার এ দুটি অবস্থার জন্য পরবর্তী সময়ে যখন কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়, তখন বুলিয়ান অ্যালজেবরার সত্য ও মিথ্যাকে বাইনারির 'I' এবং '0' দ্বারা পরিবর্তন করে নিতেই কম্পিউটারের সমস্ত গাণিতিক সমস্যা বুলিয়ান অ্যালজেবরার সাহায্যে করা সম্ভব হয়। 


প্রশ্ন-৮. NOR গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর: NOR গেইটকে সাধারণত সর্বজনীন গেইট বলা হয়। NOR গেটের বিশেষ সজ্জা ও সংযােগের মাধ্যমে যদি আউটপুট OR, AND, NOT গেটের আউটপুট প্রদান করে তবেই সর্বজনীন গেইটরূপে NOR গেইট প্রতিষ্ঠা পাবে। সাধারণত দেখা যায় যে NOR Gate কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্যান্য গেটের আউটপুট পাওয়া যায়। তাই NOR গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলা হয়।। 


প্রশ্ন-৯. এনকোডার ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যাপক ভূমিকা রাখে-বুঝিয়ে  লিখ। 

উত্তর: যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বােধগম্য ভাষাকে ডিজিটাল ডিভাইসের বােধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় তাকে এনকোডার বলে। মানুষ বােঝে আলফানিউমেরিক বর্ণ কিন্তু ডিজিটাল ডিভাইস বােঝে বাইনারি 0,1। এনকোডারের সাহায্যে যেকোনাে আলফানিউমেরিক বর্ণকে ASCII, Unicode ইত্যাদি কোডে অর্থাৎ বাইনারি 0,1 পরিণত করা যায়। এনকোডার না থাকলে মানুষের ভাষাকে ডিজিটাল ডিভাইসের ভাষায় পরিণত করা সম্ভব হতাে না। ফলে মানুষ এবং ডিজিটাল ডিভাইসের মধ্যে কোনাে সমন্বয় হতাে না। তাই বলা যায়, ডিজিটাল ডিভাইসে এনকোডার ব্যাপক ভূমিকা রাখে। 


প্রশ্ন-১০. রেজিস্টারের প্রয়ােজনীয়তা ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: রেজিস্টার হলাে কতকগুলাে ফ্লিপ-ফ্লপ এর সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যা বাইনারি তথ্যকে সংরক্ষণ করে থাকে। রেজিস্টার এক প্রকার অস্থায়ী মেমােরি ডিভাইস। সাধারণত, মাইক্রোপ্রসেসর ডেটা প্রক্রিয়াকরণের সময় অস্থায়ীভাবে রেজিস্টারে ডেটা সংরক্ষণ করে রাখার জন্য রেজিস্টার ব্যবহার করা হয়। 


প্রশ্ন-১১. প্যারালাল লােড রেজিস্টার বলতে কী বােঝায়? 

উত্তর: প্যারালাল লােড রেজিস্টারে কতগুলাে ফ্লিপ-ফ্লপ সমান্তরালে সাজানাে থাকে। এ ধরনের রেজিস্টারে ক্লক পালস ইনপুটগুলাে একত্রে যুক্ত থাকে যাতে সবগুলাে ফ্লিপ-ফ্লপে ক্লক পালস এক সাথে সংযুক্ত। একটিমাত্র ক্লক পালস এর মাধ্যমে লােড রেজিস্টারের ইনপুট বিটসমূহ একটি করে সবগুলাে ফ্লিপ-ফ্লপে এক সাথে লােড হয় এবং এদের আউটপুট পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে সাধারণ CLEAR এর Input 1 দিয়ে রাখতে হয়। CLEAR এর Output মান 0 দিলে ডেটা রিসেট হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post